ইভিএমের সিদ্ধান্ত নিজেদের : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ইভিএমে যাওয়ার একটা বড় সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদের। ভোটটাকে রাজনৈতিক দল হ্যান্ডেল করবে না, ভোটকে হ্যান্ডেল করবে ইসি।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইসির এটা বড় দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। ভোট যেন সুষ্ঠু হতে পারে তা নিশ্চিত করবে ইসি। যারা ভোট দিতে আসবেন সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনায় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলো কে কি বলেছে, সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনায় আসেনি। কিন্তু বক্তব্যগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। একই সঙ্গে কয়েক কোটি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগে কেন্দ্রে এলে তারা যেন আরও ভালোভাবে ভোট দিতে পারে-তা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের পাঁচ মাসের বেশি সময় হয়ে গেল। আমরা ইভিএম নিয়ে চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। প্রথম থেকেই বলেছিলাম-পরীক্ষা নিরীক্ষা করে, কতটা নির্ভরযোগ্য পরখ করে দেখার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন দল, টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের ডেকেছি, অনেকের মতামত নিয়েছি। এর উপর নির্ভর করে, সব দলের মতামত বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা ১৫০-১৫০ এভাবে ভাগ করে ইভিএমটাকে ব্যবহার করব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে যে কথাগুলো চালু আছে, বলছেন সেগুলো ভোটের পরেও কিন্তু বোঝা যাবে। ইভিএমে নির্বাচন হলে ফলাফলের ধরনটা দেখে বোঝা যাবে, আসলে এ যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো কারচুপি করা হয়েছে কি না? আমরা কমিশন কিন্তু পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েছি। একেবারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত ১৫০টা আসনে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা একটি দলের চাওয়া বা কারো চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নয়; আমরা বিরোধিতাগুলোকেও বিবেচনায় নিয়েছি। একটি দল ইভিএমের পক্ষে বলেনি, বেশ কয়েকটি দল পক্ষে বলেছে। কিছু দল শর্ত সাপেক্ষে বলেছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। আমরা একটা বিভাজন করলাম, সম্ভব হলে ১৫০ আসনে করব। ১৫০টা পর্যন্ত সম্ভব হবে কি না এখনও বলতে পারছি না। ইভিএম প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টা আসনে করতে পারব।’
ইভিএম বিতর্কে নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নিয়ে কোনো সঙ্কট হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভবিষ্যতটা আমরা বলতে পারব না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আগের নির্বাচনগুলো নিয়েও আপনারা সংকটের কথা বলেছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট হবে কি না তা আগেই বলে দেওয়ার সাধ্য নেই।’
অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়েও আগাম কোনো ‘ভবিষ্যতবাণী’ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইভিএম নতুন করে সঙ্কট তৈরি করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, দেখি কি হয়।’
ভোটে না আসার ঘোষণার মধ্যে বিএনপিকে নিয়ে কোনো আগাম মন্তব্যও করতে চাননি তিনি। সিইসি বলেন, ‘তখন বিবেচনা করা হবে। উনারা যদি আসেন...তখন বসে সিদ্ধান্ত নেব।’