ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান সিদ্দিকী এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বর্তমানে রাসেল দম্পতি একাধিক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে আরও একটি মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হলো।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মিয়া হোসেন গণমাধ্যমকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় সমন ফেরত আসার পর আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমির আদালতে মামলাটি করেন তোফাজ্জল হোসেন। বিচারক ওই দিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার দেওয়া হয়। অনলাইনের মাধ্যমে দেখে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি মোটরসাইকেল কিনতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করেন।
বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারির কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
ইভ্যালি নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে ব্যর্থ হয়। পরে গত বছরের ২৮ জুন ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষরিত দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক বাদী বরাবর ইস্যু করা হয়।
ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে ডিজঅনার হয়।
এরপর গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।