ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সাত বছরের সাজা হতে পারে
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি গতকাল বৃহস্পতিবার বাদী আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক করেন।
সেই মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো- দণ্ডবিধির ৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬ ধারা।
এ বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কে এম সাজ্জাদুল হক শিহাব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে সে ধারায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর কারাদণ্ড। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় বলা আছে, প্রতারণা করে সম্পত্তি বা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এ অপরাধে একজন ব্যক্তির সাত বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
৪০৬ ধারায় ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছর জেল, অর্থ জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
৫০৬ ধারায় ভিক্টিমকে ‘হত্যা বা আঘাত করার ভয়ভীতি’ দেখানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর নির্ধারণ করা আছে।
এদিকে আজ ইভ্যালির চেয়ারম্যান মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এজাহার থেকে জানা গেছে, বাদী গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো সাত থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।