ইমো-বিকাশ হ্যাকের সঙ্গে জড়িত রাজশাহীর জুয়েল আটক
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ইমো প্রতারণা ও বিকাশ হ্যাকের সঙ্গে জড়িত জুয়েল রানাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাঘা থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জুয়েল রানার (২৫) বাড়ি উপজেলার চক ছাতারী গ্রামে।
ডিএমপি উত্তরা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) হাসান আলী জানান, জুয়েল রানা বাঘা উপজেলার চিহ্নিত ইমো ও বিকাশ হ্যাকার। তার সঙ্গে এ অঞ্চলের আরও অনেকেই সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি সম্প্রতি একজন সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে ইমো প্রতারণার মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রাজশাহীর বাঘায় ইমো হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। একদল সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত করছেন সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও সুবিধা চালু হওয়ার পর এই প্রতারণায় এসেছে নতুন মাত্রা। এখন সরাসরি লাইভ ভিডিওতে বিকাশ নেওয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ইমো প্রতারণা। এ ছাড়াও হোয়াটস অ্যাপে ফোন সেক্সের আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু শর্ত হলো একটাই আগে বিকাশ, তবেই মিলবে ইমোর নম্বর, নতুবা নয়। আর এসব অফারে প্রতিনিয়ত বিকাশ করে প্রতারিত হচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
বাঘা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাসে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ইমো-হ্যাকারদের প্রতারণা। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার গড়গড়ি ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নে এর প্রবণতা অন্য যেকোনো এলাকার চেয়ে অনেক বেশি।
বাঘা থানা পুলিশ এসব প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্তদের তালিকা সংগ্রহ শুরু করেছে। আর এসব তালিকা ধরে থানায় চার মাসে তিনটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে আসামি হয়েছে ১২ জন। এর মধ্যে আটক করা হয়েছে আটজনকে। এরা হলেন আলামিন হোসেন, পারভেজ খান, রুবেল হোসেন, পল্লব, মতিন, ডলটন, শফিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম। এদের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার চক ছাতারী গ্রামের জুয়েল রানার নামে ঢাকা উত্তরা থানায় ইমো প্রতারণার মামলা করেছেন সৌদি প্রবাসী মুন্না। এ মামলায় ডিএমপি তাঁকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছে।