ইরফান সেলিমের মামলা : বাদীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বাদী নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে ২৮ এপ্রিল আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এই নির্দেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সাইফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক বাদীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
জিআরও বলেন, মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্রে কয়েকটি ধারা বাদ দিয়েছিল। সে ধারা সংযোজনের বিষয়ে বাদী কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিবেন কিনা, সে বিষয়ে জানতে আদালতে বাদীকে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় আসামিরা হলেন ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ, মিজানুর রহমান ও রিপন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
মামলার পর ওইদিন দুপুর থেকে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।