ইলিশে নিষেধাজ্ঞা : এবার পাহারা থাকবে নদী তীরেও
মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর ঘোষণা অনুযায়ী নদীগুলোর নির্ধারিত স্থানে পাহারা বসানো হবে। এ সময় ইলিশ শিকার করলে প্রশাসন কঠোর হস্তে দমন করবে। জেল-জরিমানাসহ নৌকা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশাল প্রশাসন।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্সের সভায় এবার নদীতে এবং তীরে টহল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য জেলা পুলিশকে নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সদরের সায়েস্তাবাদ, কালিজিরা, চরমোনাই, চন্দ্রমোহন এবং হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের কয়েকটি স্পটে মা ইলিশ নিধন রোধে পুলিশকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। তবে পুলিশ যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ায় এজন্য থানাগুলোকে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নদী তীরে ‘ইলিশ পাহারাদার’ থাকবে। জনবলও বাড়ানো হচ্ছে মেঘনা ঘেরা হিজলা মেহেন্দীগঞ্জসহ আসপাশের উপজেলায়। জেলার ৫১ হাজার ৭০০ জেলেকে নদীতে নামানো ঠেকাতে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বরফ কল বন্ধ থাকবে।’
বরিশাল সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় গতকাল শনিবার সকালেও তিনি নগরীর জেলেপল্লি পলাশপুরে সচেতনতা সভা করেছেন। জেলেদের আস্বস্ত করা হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞাকালীন তাদের শতভাগ খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। এরপরও নদীতে নামলে জলে ও স্থলে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। এজন্য বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচটি দল দৈনিক নদীতে পাহারায় থাকবে।’
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় এবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হবে কঠোরভাবে। এজন্য জনবল বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ফিস গার্ড, ইলিশ পাহারাদারও থাকবে। পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী নদীতে এবং নদী তীরে মৎস্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করতে টহল জোরদার করবে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেশের মোট উৎপাদনের দুই ভাগ ইলিশই আসে এ অঞ্চল থেকে। তাই নদী তীরবর্তী জনপ্রতিনীধিদের কারা কারা ইলিশ নিধনে জেলেদের নদীতে নামায় তা তারা জানেন। মেঘনা ঘেরা হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জের কেবল নদীতে নয় এদের উপরেও দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।’