ইলিশে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে চাঁদপুর মাছঘাটে
ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে চাঁদপুর মাছঘাট ব্যবসায়ীদের। প্রতিদিন ঘাটে এখন এক হাজার মণ এর বেশি ইলিশ আমদানি হচ্ছে। এজন্য ব্যস্ততা বেড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের। ইলিশের রাজধানীখ্যাত চাঁদপুর জেলার বৃহৎ এই মৎস্য আড়তে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঝিমিয়েপড়া ঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। হাতিয়া, নোয়াখালী অঞ্চল থেকে ইলিশ আমদানি বেড়েছে। তবে, স্থানীয় পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশের আমদানি কম। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও দাম সহনশীল নয়।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আসা ক্রেতা আহাদ ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় ঘাটে ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ইলিশ কিনতে মাছঘাটে আসছেন। তবে বড় বিষয় হচ্ছে, মাছের আমদানি বৃদ্ধি পেলেও দাম বেশ চড়া। তবে আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। সামনে আরও কমবে।
ইলিশ ব্যবসায়ী মো. রুবেল গাজী বলেন, বর্তমানে চাঁদপুর মাছঘাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবং ২ কেজি ওজনের ইলিশ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ একবারেই কম, তাই দাম একটু বেশি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবে বরাত সরকার বলেন, চাঁদপুর মাছঘাটে আমদানি হওয়া ইলিশ হাতিয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে আসা। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশের আমদানি কম। আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এখন ৫০০ থেকে ১ হাজার মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। সেই তুলনায় চাঁদপুরের ইলিশ নেই। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ইলিশের ভর মৌসুমে আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং গতবছরের তুলনায় এবার ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছি।