ইসলামাবাদে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে বাংলাদেশ, ব্যয় প্রায় সাড়ে ৯৭ কোটি
পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ও জোরদার করতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয়ে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্পও অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক)। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইসলামাবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ বা কারণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ‘(ক) পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং জোরদার করা (খ) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি করা (গ) বর্তমান প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য উপযুক্ত ভৌত সুবিধা সৃষ্টি এবং (ঘ) বাংলাদেশ দূতাবাসের অনূকলে বরাদ্দকৃত জমি ব্যবহার করা।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, “প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নির্মাণাধীন চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে নিজস্ব ভবনে মিশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে বিধায় প্রকল্পটির ৪র্থ সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন বিবেচনাযোগ্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (৪র্থ সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট ৯৭.৪২৫৭ কোটি (সাতানব্বই কোটি বিয়াল্লিশ লাখ সাতান্ন হাজার) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০০৭ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকের সদয় বিবেচনা ও সানুগ্রহ অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।”
প্রকল্পটি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ৩.৫.১ অনুচ্ছেদে অভিবাসন কূটনীতি এবং অন্যান্য কূটনীতির মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিটি বিদেশী মিশনে নিজস্ব দাপ্তরিক অফিস ভবন নির্মাণপূর্বক কনস্যুলার সেবা প্রদান কার্যক্রম শক্তিশালী করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাকিস্তানে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে, যা পরোক্ষভাবে উক্ত লক্ষ্যমাত্রার সাথে সংগতিপূর্ণ।
সভায় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।