ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী
ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় ঢাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা হতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবারের (২০ এপ্রিল) মধ্যে প্রায় ২০ লাখ লোক ঢাকা ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
ঈদুল ফিতরের আগে গতকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ঈদের ছুটি। সরকারি, আধা সরকারি এবং অনেক বেসরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস ছিল মঙ্গলবার। ওইদিন বিকেল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিপুল মানুষ রাজধানী ছেড়েছে।
বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতি বছর তাদের গ্রামের বাড়িতে যান। এরমধ্যে ২০ শতাংশ যাবে নৌপথে ও ২০ শতাংশ রেলপথে।
এনসিপিএসআরআর-এর সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, ঈদের আগে ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছাড়বে। এরমধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ উপকূলীয় জেলায় যাবেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবে কয়েক লাখ মানুষ।
এছাড়া শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বেন, যা মোট ঈদের ছুটির ৬০ শতাংশ। এছাড়া ট্রেনে যাবে আরও প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক পূর্ব) আখের হুসাইন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অনেক মানুষ আবদুল্লাহপুর হয়ে উত্তরের জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার উদ্দেশে যাচ্ছেন। অধিকাংশ বাস সময়সূচি অনুযায়ী আব্দুল্লাপুর ছেড়েছে।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (দারুস সালাম জোন) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে বাড়িমুখী মানুষের ভিড় শুরু হয়। গাবতলী থেকে অধিকাংশ বাস প্রায় সময় মতো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
একইভাবে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড সূত্র জানায়, বেশিরভাগ বাস চট্টগ্রাম ও সিলেট সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য গন্তব্যের জন্য টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের সময়সূচিতেই ছেড়েছে।
একইভাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, অধিকাংশ ট্রেন সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ছেড়েছে।