ঈদের কেনাকাটায় পোশাকের চেয়ে মোবাইলে আগ্রহ বেশি
দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গিয়েছেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য। আবার অনেকে করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকায় ঈদ করছেন। তবে যারা ঢাকায় ঈদ করছেন তারা শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ছুটছেন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে।
আজ রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, পলওয়েল মার্কেট গিয়ে দেখা গেছে, দোকানপাটে উপচেপড়া ভিড় নেই। তবে মোবাইল ও বিভিন্ন গ্যাজেটের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। কাপড়ের দোকানে বিক্রি বেশি না হওয়ায় অনেক বিক্রেতাই হতাশ।
বসুন্ধরা সিটির ‘গ্রামীণ’ নামের একটি তৈরি পোশাক দোকানের বিক্রয়কর্মী আবুল হাসান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতা কম। লকডাউন শেষে খোলার পরে ক্রেতা হয়েছিলো। বর্তমানে যারা আসছে, সবাই ঢাকাবাসী। তারা ঢাকায় ঈদ করবে, এই কারণে এ সময়ে আসছে।
‘স্যামসাং’-এর বিক্রয়কর্মী ফুয়াদ বলেন, মোবাইলের এখন যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। অনেকে নতুন নতুন মোবাইল কিনছেন। করোনার কারণে ঘরে থাকার প্রয়োজনে অনেকে মোবাইলের দিকে ঝুঁকছেন, তাই ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তবে ক্রেতা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
‘ফোন এক্সচেঞ্জ বিডি’ নামের একটি দোকানের বিক্রেতা রাসেল বলেন, এখন মোবাইলের চাহিদা বেশি, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। কাপড়ের চেয়ে এখন মোবাইল ও অন্যান্য গেজেটের দোকানে মানুষের ভিড় বেশি হচ্ছে।
নীলিমা খন্দকার নামের এক নারী জানান, এখন ছেলে-মেয়েদের অনলাইনে বেশিরভাগ ক্লাস করতে হয়। তাই মোবাইল বাচ্চাদের দেওয়া প্রয়োজন। ঈদে বাচ্চাদের বাবা বোনাস পাওয়ার কারণে মোবাইল ফোন কিনতে বসুন্ধরায় এসেছি।
ফয়সাল নামের আরেকজন বলেন, ছোট্ট বাচ্চা আছে, তাই কিছু পোশাক কিনতে এসেছি। অন্যান্যবার ঢাকার বাইরে ঈদ করতাম। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তাই ঢাকায় ঈদ করব। এই কারণে কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি।