ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে
আব্দুল মোত্তাকিম। তিনি একটি বিপনীবিতানে চাকরি করেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অফিস শেষ করেছেন। ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে তখন আর নিজ জেলা ফরিদপুর যাওয়ার শক্তি ছিল না তাঁর। ফলে, ঢাকায় ঈদ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু, সারাদিন তাঁর খুব খারাপ গেছে। তাই বিকেলেই রওনা দিয়েছেন গ্রামের উদ্দেশ্য।
ফরিদপুর সদরে আব্দুল মোত্তাকিমের বাড়ি। সেখানেই তাঁর বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তান বাস করে। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তিনি রাজধানীর গাবতলী থেকে সেলফি নামের একটি বাসে উঠেন। ভাড়া ১৫০ টাকা। যাবেন আরিচা ঘাট পর্যন্ত। আব্দুল মোত্তাকিম বলেন, 'গতকাল ভোরে যখন অফিস শেষ করি, তখন আর শরীর চলছিল না। তাই বাসায় ঢুকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে নামাজও পড়েছি ঢাকায়। তারপর থেকে খারাপ লাগছে বেশি। এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে সেখান থেকে আরেকটা গাড়ি পাল্টিয়ে ফরিদপুর চলে যাব।’
শুধু আব্দুল মোত্তাকিম নয়, এমন আরও অনেকে রাজধানী ছাড়ছেন ঈদের দিনেই। এর মধ্যে আবার অনেকে ঈদের আগের ভোগান্তির শঙ্কায় গ্রামে যাননি। তারা ঈদের দিন যাচ্ছেন। এই যেমন, নাজমুল হুদা নামের একজন তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আজ বিকেলে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে তারা যাবেন সিরাজগঞ্জ। নাজমুল বলেন, ‘বউ-ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঈদের আগে যেতে চাইনি। আজ যাচ্ছি। কয়েকদিন থাকব। তারপর ফিরব। আজ যেতে কোনো ঝামেলা হবে না।’
তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি যাচ্ছেন রাজবাড়ী। তিনি বলেন, ‘আজকেও অফিসের কাজ ছিল। বিকেল পর্যন্ত অফিস করে এখন (বিকেল সাড়ে ৫টা) যাচ্ছি বাড়ি। ছয় দিন ছুটি কাটিয়ে এরপর আবার শহরে ফিরব।’