ঈদের পর সরব হয়ে উঠেছে সাভারের চামড়াশিল্প নগরী
দূর-দূরান্ত থেকে কাঁচা চামড়া আসা শুরু হয়েছে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে। গতবারের মতো এবারও ট্যানারি মালিকেরা নিজেদের ব্যবস্থাপনাতে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত উল্লাহ জানান, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা থেকে ট্যানারিগুলোতে কাঁচা চামড়া আসা শুরু হয়েছে। গেল বছরের মতো এবারও ৮০ লাখ গবাদিপশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এবারের কোরবানির ঈদে।
সাখওয়াত উল্লাহ জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যেই এবার তাঁরা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। চামড়া পরিবহণের বিষয়টি আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখায় ট্যানারিগুলোতে চামড়ার সংকট হবে না বলে জানান তিনি।
দেশে প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি গবাদিপশুর চামড়া ক্রয় করা হয়, যার ৮০ ভাগ চামড়াই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে কোরবানির ঈদকে ঘিরে।
এদিকে, ট্যানারি শিল্পকারখানা ঘিরে সাভারের আমিনবাজারসহ কারখানার আশপাশে গড়ে উঠেছে বেশকিছু চামড়ার আড়ত।
মৌসুমি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে গুণগত মান অনুযায়ী তা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন তাঁরা। সুবিধাজনক দামে এসব আড়ত থেকেই পরবর্তীকালে চামড়া সরবরাহ করা হবে ট্যানারি শিল্পকারখানাগুলোতে।