ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাসায় ঢুকে উপজেলা বিএনপির এক নেতাকে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহত বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী টিপুকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। স্থানীয় যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আহত টিপু উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

প্রত্যদর্শীরা জানান, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির নেতা টিপুর প্রতিবেশী যুবলীগের সদস্য শুক্কুর আলী। প্রায়ই শুক্কুর আলীকে মারধর করেন টিপু। আজ (রোববার) বিকেলেও শুক্কুর আলীকে ওই বিএনপিনেতা মারধর করেন। সে সময় তাঁর স্বজনেরা এসে শুক্কুরকে নিয়ে যান। পরে শুক্কুর আলী তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ বাসায় ঢুকে টিপুকে মারপিট ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাঁরা টিপুর বাসা ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান তাঁরা।

আহত জুলফিকার আলী টিপু বলেন, আওয়ামী লীগের বাধা উপেক্ষা করে ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তারের শ্যালক মাহবুব গ্রুপের যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। তবে, শুক্কুর আলীকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়।

শুক্কুর আলীর চাচাতো ভাই আবদুর রহিম বলেন, টিপু প্রায়ই আমার ভাই শুক্কুর আলীকে মারধর করেন। ঘটনার আগেও মারধর করেছেন। 

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ঘটনা শুনে টিপুকে দেখতে হাসপাতালে ও তার বাসায়  পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।