উখিয়ায় এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসার কমান্ডার নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া (৩৫) নামে আরসার এক কমান্ডার নিহত এবং পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় অস্ত্রসহ তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া উখিয়ার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর আশ্রয়শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানান অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১৭ ব্লকের জামাল হোসেন (২০) এবং একই ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের মোহাম্মদ তাহের (৪৫) ও লিয়াকত আলী (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানা যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সকালে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ-৮ ব্লকে কয়েকটি ঘরে কয়েজন অস্ত্রধারী অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে জড়ো হয়েছে বলে জানতে পারে এপিবিএন। এরপর ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। একপর্যায়ে সন্দেহজনক কয়েকটি বসতঘর ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিষয়টি বুঝতে পেরে বসত ঘর এবং আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলি ও সংঘর্ষের একপর্যায়ে আরসার সদস্যরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়।’
এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনাস্থলে দেশি বন্দুক ও গুলি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এপিবিএন পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।’
এপিবিএনের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া একজন আরসার কমান্ডার। সে আশ্রয়শিবিরে সংঘটিত চারটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এএসপি ফারুক আহমেদ।