উদ্বোধনের অপেক্ষায় বরকল ও কালারপোল সেতু
চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রতিক্ষীত বরকল ও কালারপোল সেতু উদ্বোধন হচ্ছে এ মাসেই। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। সেতু দুটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের শেষের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নির্মিত সারা দেশের ১০১টি সেতু উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এই ১০১টি সেতুর মধ্যে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৫টি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার দোহাজারি সড়ক বিভাগের অধীন বরকল ও কালারপোল সেতু, বান্দরবানের টংকাবতী সেতু এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৪২টি সেতু রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার দোহাজারি সড়ক বিভাগের অধীন সেতু দুটির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি আজ শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম-১ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু নাছের মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন।
টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার। এ সময় দোহাজারি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দোহাজারি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, মনিটরিং টিম প্রথমে কর্ণফুলী উপজেলার কালারপোল ওহিদিয়া সেতু পরিদর্শন করেন। প্রায় ১৮০ দশমিক ৩৭৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এ সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর উভয় পাশে ৫৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। সেতুটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে।
সুমন সিংহ বলেন, ‘মইজ্জারটেক-বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া-উদালবুনিয়া জেলা সহাসড়কের মধ্যে কর্ণফুলি খালের ওপর এ সেতুটির অবস্থান। এ সড়কে শিকলবাহা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপ ইয়ার্ডসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেতুটির পূর্বাংশ কর্ণফুলী টানেলে সংযোগ সড়কের সাথে এবং পশ্চিমাংশ মইজ্জারটেক হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সাথে সংযুক্ত হওয়ায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’
দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি নির্মাণের আগে এখানে জরাজীর্ণ বেইলী সেতু ছিল। যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।