উন্নত দেশ গড়তেই বাকশাল গঠন করেন বঙ্গবন্ধু : এলজিআরডিমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই বাকশাল গঠন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ, দুই লাখেরও বেশি মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাদের স্বপ্ন পূরণ, স্বাধীনতার সুফল গ্রহণ এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু নানাভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা, সর্বহারা পার্টি, বিভিন্ন বাহিনী ও গণবাহিনী অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করত। তারা পাটের গুদামে আগুন দেওয়া, লবণের ট্রাক নদীতে ফেলে দিত। দেশে এক ধরনের ত্রাস সৃষ্টি করেছিল তারা। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে বঙ্গবন্ধু সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘জাতির পিতা একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা এবং তাঁর মতো একজন মহাপুরুষ, মহামানবের জন্ম না হলে বাঙালি জাতি হাজার বছর পরাধীন থাকত। কখন কী করতে হবে, কখন কী ভূমিকা রাখতে হবে, তা সুনিপূণভাবে বাস্তবায়ন করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নতি, প্রবৃদ্ধি তার সব কিছুই জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা চেতনার ফসল। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে বিজয়ের মাসে এই আমাদের প্রত্যাশা।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা, বিভাগের আওতাধীন এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ওয়াসা ও অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা এবং জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার নেতারা অংশ নেন।