উপকূলীয় এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে রোডম্যাপ চূড়ান্ত : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার দেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘প্লাস্টিক মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া’ (প্লিজ) প্রকল্পের জাতীয় স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানব স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সব মানুষের মঙ্গলের জন্য আমাদের একটি দূষণমুক্ত বাসযোগ্য বিশ্ব দরকার। বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করেছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য উদ্ভাবন ও সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সফলতার জন্য আমাদের অবশ্যই দৃঢ় এবং সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম’ (সাসেপ) পরিবেশগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করবে।
পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, ‘টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে, যা থ্রি-আর (রিডিউস, রিইউস, রিসাইকেল) কৌশলের উপর ভিত্তি করে প্রণীত। এটি সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং সবুজ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বেশ কিছু আইন, বিধি, প্রবিধান ও নীতি প্রণয়ন করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (সাসেপ) এর মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুমুর রহমান।