উপজেলা চেয়ারম্যানের অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৩০ বছর ধরে লোকজনকে বিভিন্নভাবে হামলা-মামলা দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন এক নারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
আজ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসরাত জাহান।
ইউপি সদস্য ইসরাত জাহান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফিরোজুর রহমান ওলিও ও তার ছেলে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুকের বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছে, তাদের ওপর হামলা, মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন তারা। তাদের মদদপুষ্ট স্থানীয় খায়ের মেম্বারকে দিয়ে সব অপকর্ম করিয়ে চলেছেন তারা। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে এই খায়ের মেম্বার বিপুল অর্থ কামিয়েছেন। এর আগে শেখ ওমর ফারুকের নির্বাচন না করায় তিনি প্রকাশ্যে তার ছেলে শফিকুল ইসলাম হৃদয়কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর প্রতিবাদে তিনি আদালতে মামলা এবং প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এরই জেরে একটি সংস্থাকে হাত করে তার ছেলেকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান ওলিও। পরে আদালতে মিথ্যা ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেখিয়েছেন। এই মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে তিনি আদালতে রিট্যেক পিটিশন জমা দিয়েছেন, যা আদালত আমলে নিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের মতিলাল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর নির্বাচন না করায় স্থানীয় বিরামপুর বাজার থেকে সাধন চৌধুরী নামের এক সংখ্যালঘুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ সময় গ্রামের লোকজনের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। এ ঘটনায় সাধন চৌধুরী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ফিরোজুর রহমান ওলিওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা প্রভাবশালী এই বাবা-ছেলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কমল চৌধুরী, অমিওবালা চৌধুরী, অমল চৌধুরী, সৌরভ সরকার, কাশেম মিয়া প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘তাদের কেন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভালো জানেন। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে।’