‘উস্কানিমূলক’ পোস্টের অভিযোগে পুলিশের মামলায় ঝুমন দাস ফের গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবারও উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নোয়াগাও গ্রামের আলোচিত সেই ঝুমন দাসকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে ঝুমন দাসের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।’
গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামের একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পাশের উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকে মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে গ্রামের মানুষজনের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঝুমন দাসের বাড়িসহ হাওরপাড়ের হিন্দু গ্রামের প্রায় ১০ থেকে ১২টি ঘরে ভাঙচুর চালায়। এরপর ২২ মার্চ ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজ হয়। পরে সাড়ে ছয় মাসের বেশি সময় জেল খেটে হাইকোর্টের আদেশে জামিন হয় ঝুমন দাসের। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এবার নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হলেন তিনি।