ঋণের টাকা না দিতে পেরে পাওনাদারের সামনেই ব্যবসায়ীর বিষপান
ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে পাওনাদারের সামনেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন যুগল সোম নামের এক পান ব্যবসায়ী। আজ শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যাচেষ্টাকারী পান ব্যবসায়ী যুগল সোম (৪৫) বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানিয়েছেন, এমন অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুগল সোমের স্ত্রী কবিতা সোম জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী যুগল সোম একজন ক্ষুদ্র পানচাষি ও বিভিন্ন হাট বাজারের খুচরা পান বিক্রি করে সংসার চালান। এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিলে তিনি একটি গ্রাম্য সমিতিতে যোগ দেন। সংসার চালাতে গিয়ে ওই সমিতি থেকে ২০২০ সালে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এছাড়া বাদল রায়, বাদল কর ও নির্মল দে’র কাছ থেকে সুদে কিছু টাকা নেন। করোনার কারণে সুদের টাকা ঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারছিলেন না। গতকাল শুক্রবার রাতে বাদল রায় যুগলের বাড়িতে গিয়ে সুদের টাকার জন্য ‘গালিগালাজ’ করেন। যুগল টাকা দেওয়ার জন্য সময় চান। কিন্তু তাতে রাজি হননি বাদল রায়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে পান বরজের জন্য এনে রাখা বিষ নিয়ে এসে বাদল রায়ের সামনেই তা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাদল রায় বলেন, ‘আমার কাছ থেকে যুগল ৮৪ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি আমার টাকার জন্য নয় সমিতির টাকার জন্য যুগলকে চাপ দিয়েছি। কোনো দুর্ব্যবহার করিনি। আমি টাকা চাইতে যাওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে যুগল বিষপান করে।’
আরেক পাওনাদার বাদল কর জানিয়েছেন, তিনি যুগলের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাবেন।
নির্মল দে’র স্ত্রী কাজল দে বলেন, ‘যুগলের কাছে আমরা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পাব। তিনি আমাদের বেয়াই হন।’