এই মুহূর্তে বিদেশি ঋণের কোনো প্রয়োজন নেই : অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফকে কোনো প্রকার অর্থ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠাননি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই মুহূর্তে বিদেশি ঋণের কোনো প্রয়োজন নেই।
আজ বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের অনেকের মনে হয়তো সংশয় কাজ করে যে আমরা অনেক কিছু নিয়ে নেবো বা চুক্তি করবো। এ ধরনের কিছু আমাদের কাছে আসেনি, এলে জানতে পারবেন। আমরা এমন কোনো প্রকল্প বা ফান্ডিংয়ে যাব না; যেগুলো আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি হয়। স্বার্থের পরিপন্থি কিছু করবো না, সেটি নিশ্চিত করতে পারি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশে আসছে, এটা একটা পরামর্শক কমিটি। তারা পরামর্শ দেয়, আমরাও তাদের পরামর্শ দেই। তারা আমাদের কাছে কী জন্য আসছে সেটি নিয়ে ফরমাল কিছু আমাদের বলেনি।
বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের দ্বিমত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের বিষয়টি হলো বিভিন্ন দেশ যেভাবে করে, যেভাবে হিসাব করা হয়- আমরা সেভাবেই করেছি। আমরা সেভাবেই হিসাব করে যাব। আইএমএফ আমাদের যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সে পরিমাণ টাকা কি তারা পায়নি। তারা বলতে পারবে না একদিন পরে তাদের টাকা পেমেন্ট করেছি। সুতরাং তারা এনশিওর (নিশ্চিত) থাকবে- যেসব ঋণ আমাদের দিচ্ছে বা দেবে তা (যথাসময়ে ফেরত পাবে) নিয়ে। আমরাও তাদের বার বার আশ্বস্ত করেছি, আমাদের ঋণ দিলে তাদের কখনো সেটা মাফ করতে হবে না। আমাদের ঋণ শোধের ক্যাপাবিলিটি (সামর্থ্য) ভালো। আমরা সবসময় পেমেন্ট করে আসছি। আমরা পেমেন্টে কখনো ডিলে করিনি।
আইএমএফ বড় অঙ্কের একটি ঋণের অফার সরকারকে দিয়েছে, এমন কোনো ঋণ নেবেন কি না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ফরমাল প্রপোজাল (আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব) আইএমএফ থেকে আসেনি। আমরাও আইএমএফকে কোন প্রকার অর্থ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠাইনি। সুতরাং এগুলো যখন আসবে আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো কোনোটাই না জানার বিষয় নয়। ঋণ আমাদের প্রয়োজন থাকলে নেবো। তবে আমাদের এই মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন থাকে অবশ্যই আমরা নেবো। সেটা আমাদের স্বার্থেই নেবো। আমরা নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কিছু করবো না।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ মাঝে মধ্যেই আসে। দেখাশোনা করে যায়, তাদের যে পরামর্শ থাকে সেটি দিয়ে যায়। তাদের যে পরামর্শ তা সরকারের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারি। সংস্কারমুখী কিছু প্রজেক্টের কথা সবসময় বলে থাকে। বাজেটেও অনেক কমিটমেন্ট করেছি, সেগুলো সম্পন্ন করতে পারলে দেশের জন্য ভালো। এ সমস্ত প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।