একদিন কাগজবিহীন বইয়ের দুনিয়ায় যেতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘একদিন আমাদের কাগজবিহীন বইয়ের দুনিয়ায় যেতে হবে। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বড় হাতিয়ারের নাম রোবটিক্স, এআই, আইওটি, ব্লকচেইনসহ আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি। আর এ প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মের মেধাবী জনগোষ্ঠী আমাদের হাতিয়ার।’
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকায় বিডি গার্লস কোডিং কন্টেস্ট ২০২২-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের ডিজিটাল যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তিনি প্রতিযোগীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা কেবল নিজেদের প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে না। এ প্রতিযোগিতাকে জীবনের শিক্ষার অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আজকের পৃথিবীতে ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে কোনো অবস্থাতেই সামনে এগোনো যাবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘একদিন আমাদের কাগজবিহীন বইয়ের দুনিয়ায় যেতে হবে।’ মন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি আমার ১৩ বছরের প্রচেষ্টার ফসল।’
সরকারি উদ্যোগে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রোগ্রামিং কাজটি শ্রেষ্ঠ পেশা। এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কেউ তোমাদের পিছিয়ে রাখতে পারবে না।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বাবার নাম কিংবা স্বামীর পরিচয়ে নয়, তোমরা তোমাদের নিজের পরিচয়ে বিশ্ব জয় করছ। নিজেদের মেয়ে নয়, মানুষ ভাববে। তোমরা রোবট বানাবে। উন্নত বিশ্ব সে রোবট ব্যবহার করবে।’