এগারসিন্দুর ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুর, সহকারী চালকসহ আহত কয়েকজন
ট্রেন থামানোকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের মানিকখালি স্টেশনে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সহকারী ট্রেনচালক মো. কাওছার হোসেনসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালি ও বাজিতপুর উপজেলার সরারচর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় ট্রেন না থামানোকে কেন্দ্র করে মণ্ডলভোগ বারুণী মেলায় আসা দর্শনার্থীরা হামলার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সহকারী ট্রেনচালক মো. কাওছার হোসেন গতকাল রাতে এ নিয়ে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে ছবিসহ পোস্টে লিখেছেন, দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়ানোর অনুমতি না থাকায় হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করে। এর ফলে তিনি নিজে আহত হয়েছেন। এছাড়া ট্রেনটির ইঞ্জিনের উইন্ডো গ্লাস ও লুকিং গ্লাসসহ চালক ও গার্ডরুম ভাঙচুর করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের (জিআরপি) ওসি একেএম আমিনুল হক বলেন, এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা, ভাঙচুর এবং সহকারী চালককে আহত করার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলায় কতজন যাত্রী আহত হয়েছেন এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কিশোরগঞ্জের স্টেশন মাস্টার ইউসুফ হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মানিকখালি রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া জানান, মানিকখালি ও সরারচর স্টেশনের মাঝামাঝি মণ্ডলভোগ এলাকায় বারুণির মেলা চলছে। সেখানে যাওয়ার জন্য আশপাশের স্টেশন থেকে কয়েকশ যাত্রী ওঠেন। কিন্তু স্টেশনের বাইরে ট্রেন থামানোর কোনো নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশও ছিল না। কিন্তু যাত্রীরা মণ্ডলভোগ এলাকায় ট্রেন থামানোর জন্য চালক ও সহকারী চালককে চাপ দেয়। তারা ট্রেন না থামিয়ে মানিকখালি স্টেশনে নিয়ে আসেন। স্টেশনে আসার পর উত্তেজিত যাত্রীরা সেখানে হামলা চালায় ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে চালকের কক্ষ, কয়েকটি গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গার্ডের রুমেও হামলা হয়েছে। সহকারী চালক ও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার বলেন, এখনও কোনো মামলা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।