এনামুল বাছিরের জামিন আপিল বিভাগে বহাল
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে বাছিরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২২ নভেম্বর খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠান চেম্বার আদালত। গত ১৭ নভেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ জামিন দিলেও পরে সেটি বাতিল করে দেন। এরপর ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এনামুল বাছির। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।