এবার ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ মাঠে সেনাবাহিনী থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এবারের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ সফল করতে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এবারের লকডাউন না মানলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।
আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। আর সামনের দিনে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামনের লকডাউনে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। যাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও কমিয়ে আনতে পারি।’
আসন্ন লকডাউনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের চাপ আরও বাড়বে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামনে লকডাউন আসছে। সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন যেটা বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন। আমরা জানি, আমাদের কোনো লকডাউন নেই। আমাদের দরজা তো বন্ধ হবেই না, জানালাও খুলে দিতে হবে। যেহেতু কি না আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করব যে যেখানে আছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউনটা আপনারা মেনে চলবেন। যদি আমরা না মানি আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেও মুশকিল হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আমের ব্যবসা করতে দিতে হয়েছে, আমাদের গাড়ি চালাতে দিতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের ভ্যাকসিনেট করতে হচ্ছে, তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করতে হয়েছে। সব কাজই আমাদের একসঙ্গে করে যেতে হচ্ছে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও বজায় রাখতে হচ্ছে। রোগী বাড়ছে তাদেরকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আমাদের কাজের কোনোই কমতি নেই।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে বাংলাদেশে পাঁচ থেকে ছয় হাজার বেড অলরেডি রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেই জনসংখ্যাকে যদি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ সুরক্ষিত থাকবে। আমরা যদি করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশে যারা যায় সেই জায়গাটা ব্যাহত হবে। অন্যদেশ আমাদের ভিসা দিতে চাইবে না।’