এবার হেফাজত ও খেলাফতের দুই নেতা গ্রেপ্তার
এবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব, ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একইদিন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সারাফত হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মাহবুব আলম বলেন, ‘খুরশিদ আলম কাসেমীকে তাঁর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এবং সারাফত হোসেনকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা জেনেছি, মুফতি সারাফত হেফাজতের ইসলামের নেতা মামুনুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
এই প্রতিবাদের জের ধরে ঢাকায় ব্যাপকভাবে সহিংস ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভের সময় চারজন নিহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর দুদিন ধরে সহিংসতা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও একাধিক প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে; যাতে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত হাজার হাজার মানুষকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন হেফাজতে ইসলামের নেতাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলে তাণ্ডবের ঘটনায়ও অনেক হেফাজতে ইসলামের নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেসব মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে নেতাদের।
বিভিন্ন সময়ে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, নায়েবে আমির মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমির মোহাম্মদ যোবায়ের, মাদানীনগর মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি বশির উল্লাহ প্রমুখ।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেপ্তার হলেন- খুরশিদ আলম কাসেমী ও মুফতি সারাফত হোসেন।