‘এভাবে ভাড়া বাড়লে আমরা আর লঞ্চে যাব না’
জ্বালানি তেলের দাম ও ৩০% হারে ভাড়া বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী কমতে শুরু করেছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। গতকাল মঙ্গলবার লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণার পর আজ বুধবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
এদিকে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সব লঞ্চে যাত্রী সংকট ছিল। অন্যদিকে ভাড়া বাড়ায় ঢাকাগামী সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
আজ সকালে লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য রুটে যাওয়ার উদ্দেশে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে লঞ্চ। তবে যাত্রীর চাপ তেমন নেই বললেই চলে।
আবে জম জম লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। যাত্রীর কমার কারণ হচ্ছে ভাড়া বৃদ্ধি। অনেকেই সড়কপথে ঢাকা চলে যাচ্ছে। ফলে লঞ্চগুলোর ডেক ও কেবিন ফাঁকা।
ঢাকাগামী যাত্রী ইউসুফ রানা বলেন, ‘দিন দিন লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে কিন্তু সেই অনুপাতে সেবার মান বাড়েনি। নিম্নমানের বসার ছিট আর কেবিন দিয়ে চলছে বেশিরভাগ লঞ্চ। এভাবে ভাড়া বাড়লে আমরা আর লঞ্চে যাব না। সব দায়ভার আমাদের উপর সর্বশেষ পড়ে। সামনে থেকে সড়ক পথে যাব।’
কলেজ শিক্ষার্থী আফরোজা বলেন, ‘ভাড়া বাড়ায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছি। আগে দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল ২০০ টাকা। এখন বাড়তে বাড়তে ৩০০ টাকা হয়েছে। এটা কি কোনো নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়ে। এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।’
মিনহাজ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘ভাড়া বাড়ার আগেও চাঁদপুরে কিছু লঞ্চ আমাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিয়েছে। কেবিনের যে ভাড়া, তা বিমানের ভাড়ার সাদৃশ্য হয়ে গেছে। তাহলে এটাই কি দেশের উন্নয়ন। আমরা এই উন্নয়ন চাই না।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দরের উপপরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাটে আমাদের সর্বদা নজরদারি রয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর ফলে যাত্রীর চাপ কমেছে। তবে কোনো লঞ্চে যদি নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।