এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হবে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষক
দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে ১১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফল প্রকাশ করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রকাশিত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ২০২২-এর আওতায় ১৫ হাজার ১৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ সুপারিশের পর যেসব পদে কেউ যোগদান করেননি বা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করেননি, এমন তিন হাজার ৭৮১টি পদে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ’র তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় যেসব পদে কেউ আবেদন করেননি, এমন ১৫ হাজার ১৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের ফলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী তিন লাখ ৪৩ হাজার ৪০৭টি আবেদন পাওয়া যায়। এই আবেদনসমূহ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে মেধা ও চাহিদা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করা হয়।
যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, মোট আট হাজার ৩৫৯ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে চার হাজার ৭৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ/নিরাপত্তা ভেরিফিকেশনের পরে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
নির্বাচিত চার হাজার ৭৫২ প্রার্থীর মধ্যে এমপিও পদে চার হাজার ১৮৫ এবং নন-এমপিও পদে ৫৬৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় পদ দুই হাজার ৫০৪টি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় পদ ২২৪৮টি।
একই সঙ্গে এনটিআরসির তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নির্বাচিত ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে নিয়োগ সুপারিশের পর যেসব পদে কোনো প্রার্থী যোগদান করেননি অথবা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করেনি, এমন সাত হাজার ১৭টি পদে বিধি এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপেক্ষমান তালিকা থেকে দ্বিতীয় মেধাধারীকে নির্বাচন করা হয়েছে।
নির্বাচিত সাত হাজার ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে এমপিও পদ ছয় হাজার ২০৫টি এবং ননএমপিও পদ ৮১২টি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় পদ চার হাজার ৫৩৯টি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় পদ দুই হাজার ৪৭৮টি। এ সব নির্বাচিত প্রার্থীদেরও পুলিশ বা নিরাপত্তা ভেরিফিকেশনের পরে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
নিয়োগ সুপারিশের ফলে এনটিআরসিএ থেকে গত ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখে তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের মধ্যে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। ১৫ হাজার ১৬৩টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় প্রার্থী নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।
নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ বা নিরাপত্তা ভেরিফিকেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থীর কাছ থেকে প্রাক-নিয়োগ জীবন বৃত্তান্ত যাচাই সংক্রান্ত ভিআর ফরম সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে মোট ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থী ভিআর ফরম পাঠান।
গত ২০ জানুয়ারি উল্লিখিত নির্বাচিত ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।