এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : তারেক-মাসুমের স্বীকারোক্তি
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগকর্মী তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিলেট মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান আজ রোববার বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত তাঁদের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ পাহারায় দুই আসামিকে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার তাঁদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে গত শুক্রবার ও শনিবার মামলার অপর ছয় আসামির রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, মো. রাজন ও আইন উদ্দিন।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, বেলা আড়াইটার দিকে মামলার দুই আসামির রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হয়। পরে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের একপক্ষের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা হয়। এজাহারের বাইরে আরো দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়। নগরীর বাইরে পলাতক থাকা অবস্থায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তাঁরা সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।