এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: গভর্নর
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে এলসি নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের (ডিসিসিআই) নেতারা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সমীর সাত্তারের নেতৃত্বে ডিসিসিআই-এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান।
ডিসিসিআই নেতারা গভর্নরকে বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর পাশাপাশি রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এলসি নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজন।
ডিসিসিআই দল ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ পুনরুদ্ধারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অলস লোন নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, অর্থনীতি বর্তমানে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি।
তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে এলসি খোলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
গভর্নর বলেন, আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৈঠকে ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর আরমান, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনা আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।