এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কোপালেন বান্ধবীর বাবা
লক্ষ্মীপুরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে মো. তামিম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (৭ মে) দুপুর ২টার দিকে শহরের পিটিআই মোড় এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. তামিমের বন্ধবীর বাবা শেখ ফরিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী তামিম তার বান্ধবীর বাবা ফরিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফরিদ আত্মগোপনে রয়েছেন।
আহত তামিম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মজুপুর এলাকার নুরনবী শামিমের ছেলে ও আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বান্ধবীও অন্য একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি কয়েক বছর ধরে স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
হাসপাতালে আহত তামিম ও তার বন্ধুরা জানায়, ওই বন্ধবীর সঙ্গে তামিমের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শেষে দুজনে রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ করে বান্ধবীর বাবা রেস্টুরেন্টে ঢুকে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
লক্ষ্মীপুর ফ্রাইড চিকেন অ্যান্ড শর্মা হাউসের ম্যানেজার মো. নুরনবী বলেন, ‘আমি রান্না ঘরে ছিলাম। আমার রেস্টুরেন্টে অনেক কাস্টমার ছিল। হঠাৎ করে একজন মুরব্বী এসে দুজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে আমি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। ছেলেটি শরীরের রক্ত দেখেছি। মেয়েটি দৌড়ে চলে গেছে। আর মুরব্বির হাতে ছুরি দেখেছি। পরে শুনেছি, মুরব্বি মেয়েটির বাবা।’
বক্তব্য জানতে শহরের সমসেরাবাদ এলাকার মোবারক কলোনির ভাড়া বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ কে আজাদ বলেন, ‘ছেলেটির হাতে ও মাথায় তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসায় খোঁজ করে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ আহত ছাত্রসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।’