ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির হাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ লাঞ্ছিত
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ মহিউদ্দিন খাঁনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওষুধ কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুডলাক ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সৌরভ হালদার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া রোগীদের নানাভাবে বিরক্ত ও হয়রানি করে আসছিলেন। আজও তিনি জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ওটি সহকারী মহিউদ্দিন খাঁন সৌরভকে বাধা দেন। এতে সৌরভ মহিউদ্দিনকে সেখানে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে অন্য স্টাফদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তিনি দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির পাশাপাশি তিনি হাসপাতালের সামনের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন। ওই ক্লিনিকে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সেবা দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে গিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন।
হাসপাতালের স্টাফরা অভিযোগ করেন, সৌরভ মূলত একজন দালাল। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির আড়ালে তিনি রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণার করে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন খাঁন বলেন, ‘সৌরভ সব সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে এসে আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকেন। তাঁকে মানা করায় আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৌরভ হালদার বলেন, ‘যিনি আমাকে মানা করেছেন তিনি মানা করার কে? মানা করলে হাসপাতালের টিএইচও মানা করবেন। যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমারও ‘সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। যার কারণে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে যাই।’
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’