ওসির বিরুদ্ধে চোরাকারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে চিহ্নিত চোরাকারবারিকে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় পৌর শহরের রিজেকশন গলি এলাকা থেকে মোংলা বন্দরের পশুর নদীর জয়মনিতে খননের কাজে নিয়োজিত চায়না ড্রেজার হতে রং পাচারের অভিযোগে পুলিশ মানিক (৪০) ওরফে সোনা মানিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে শহরের প্রভাবশালী চোরাই সিন্ডিকেট চক্রের তোড়জোড় শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত আড়াইটায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানিককে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা এক ব্যক্তি বলেন, অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে রাত ২টার পর তাকে ছাড়িয়ে এনেছি।
তবে মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, রং পাচারের ঘটনায় সোনা মানিকের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল রাত ১০টায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রং পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আটক দুই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি মতে সোনা মানিককে আটক করেছেন। এ ঘটনায় তার নামে মামলা হবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোল পাল্টে ওসি আগের বক্তব্য থেকে সরে আসায় শহরে তার বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের জয়মনিতে খনন কাজে ব্যবহৃত চায়না ড্রেজারের ব্রিজ রুম থেকে গত ২ এপ্রিল ৯৭ ড্রাম রং চুরির ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় মামলা হয়। নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করেন চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের স্থানীয় প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার এম রাউফুল ইসলাম। মামলা নম্বর ৬।
মোংলা থানার ওসি বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত চায়না ড্রেজার থেকে রং পাচারের একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সে অনুযায়ী এই চক্রের দুই সদস্য হৃদয় বিশ্বাস (১৯) ও মো. নাসির তালুকদারকে (৪৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই মামলার আসামি। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে এই রং পাচারের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় আটক সোনা মানিককে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, থানায় আসেন কথা বলব।