ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি থেকে সরে আসার আহ্বান রিজভীর
ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি করা হলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ প্রস্তাবকে ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে তিনি তা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘দেশকে দরিদ্র, দুর্নীতিগ্রস্ত ও তীব্র অসাম্যের মধ্যে নিক্ষেপ করে সরকার জনগণকে ভাতে ও পানিতে মারার সব বন্দোবস্ত করছে। আমি ওয়াসা কর্তৃক পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে এ ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘গত সোমবার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ বোর্ডসভায় ৪০ শতাংশ পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বর্তমানে প্রতি ১০০০ লিটার পানির আবাসিক গ্রাহকরা ঢাকা ওয়াসাকে দেয় ১৫.১৮ টাকা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে এ দাম ৪২ টাকা।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত বছর ২৫ মে ওয়াসার পানির দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে। ২০২০ সালের এপ্রিলেও পানির দাম বৃদ্ধি করেছিল ওয়াসা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, ২০১৮ সালের জুলাইতে, ২০১৭ সালের আগস্টেও পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ওয়াসার এমডি পানির দাম এখন যা আছে সেটা থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’
গুমের ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি মনে করেন, গুমের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত নয়, তাহলে তাকেই জবাব দিতে হবে, গুমের সঙ্গে কারা জড়িত? কে বা কারা একের পর এক মানুষ গুম-খুন করছে?’
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দলের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ শত মানুষকে ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার গুম করেছে। তাদের মধ্যে কার কার সলিল সমাধি ভূমধ্যসাগরে হয়েছে তার জবাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, গুম হওয়া বা তাঁর ভাষায় ভূমধ্যসাগরে সলিল সমাধি হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তাঁর কাছে আছে।’ তিনি অবিলম্বে সেই তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।