কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান, অস্ত্রসহ ৭ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সাত জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার ভোরে টেকনাফের চাকমারকুল ও উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ভোরে চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে একরাম হাসান ওরফে মাস্টার একরামকে (২৩) গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার ভোরে চাকমারকুল ক্যাম্পের বি ব্লকের সাব ব্লক বি/৭-এর কাশেম ও রশিদের ঘরের সামনে ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অবস্থান নিচ্ছে মর্মে সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আট থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী দৌড়ে পালাতে থাকে। এ সময় এপিবিএন সদস্যরা ধাওয়া করে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী একরাম হাসান ওরফে মাস্টার একরামকে (২৩) একটি দেশি এলএমজিসহ গ্রেপ্তার করে। তিনি চাকমারকুল ক্যাম্পের এ/২ ব্লকের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি আরসার সক্রিয় সদস্য ও ক্যাম্প লিডার। তাঁর নামে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চানমিয়া মাঠ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে দেশি অস্ত্রসহ ছয় জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চানমিয়া মাঠসংলগ্ন এলাকার জাবের (২৪), শফিকুল ইসলাম (৩২), সৈয়দ মোহাম্মদ (৫২), মো. জমির (২৭), মৌলভী হামিদ হোসেন (৪১) ও মো. হোসেন প্রকাশ ইদ্রিস (৪৩)।
ইরানি পাহাড় এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার পীযুষ চন্দ্র দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবিপিএন সদস্যরা। এ সময় একটি রামদা, একটি কিরিচ, তিনটি ধামা, একটি নান চাকু ও একটি রডসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজার ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক জানান, আটকেরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।