কক্সবাজারে এক লাখ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ডব্লিএফপি
কোভিড-১৯ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকির মুখে থাকা কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর এক লাখ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিতে সরকারের অংশীদার হয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও ডব্লিউএফপির স্পেশাল সাপোর্ট ফর দ্য হোস্ট কমিউনিটি (এসএসএইচসি) কর্মসূচির অংশ হিসেবে সহায়তা প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধনীতে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডব্লিউএফপি ও এর অংশীদার সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারের পক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জেলার আটটি উপজেলায় কোভিড-১৯ লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর এক লাখ পরিবারকে (পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগী প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ) ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেসব পরিবার সবচেয়ে ঝুঁকির সন্মুখীন হয়েছে এবং যারা এরই মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সোশ্যাল সেফটি নেট কর্মসূচির আওতায় আসেনি, তাদের এই নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
ডব্লিএফপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসে বাস্তবায়িত এসএসএইচসি কর্মসূচির আওতায় প্রায় ছয় লাখ মানুষকে সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫৯ কোটি ২২ লাখ টাকা) নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়া হয় এবং তার পাশাপাশি আইসোলেশন অথবা কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা মানুষকে খাদ্য সহায়তা ও হট মিল বা খিচুরি দেওয়া হয়। সরকার কর্তৃক এরই মধ্যে বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সোশ্যাল সেফটি নেট কর্মসূচির পরিপূরক হিসেবে ডব্লিউএফপি ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই কর্মসূচি সাজিয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কোভিড ১৯-এর কারণে মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার এই সময়টায় সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসায় ডব্লিউএফপিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘কোভিড ১৯-এর ফলে কক্সবাজারে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা পরিবারগুলোর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব মানুষের আমাদের সহায়তা সবচেয়ে বেশি দরকার, তাদের পাশে সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দাঁড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
কানাডা সরকারের অনুদানে এই এসএসএইচসি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে এবং জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারের সহযোগিতায় ডব্লিউএফপি ও স্থানীয় অংশীদারদের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।