কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ৩ আসামি রিমান্ডে
কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী এ আদেশ দেন।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি জানান, প্রত্যেক আসামির পাঁচ দিনের করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ (২৮) ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২১)।
এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মাদারীপুর থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে।
এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি, হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। গত শনিবার তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্ত্বরে রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেল। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে ও দু-তিনজনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী।
এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ধর্ষণের শিকার পর্যটক তার হৃদরোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে যান। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক আশিক ও তাঁর সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।