কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে আটকা ২০ হাজার পর্যটক
হঠাৎ করে গণপরিবহণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া প্রায় ২০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এসব পর্যটক গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
অনেক পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়ায় উড়োজাহাজে করে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। যাঁদের সে সামর্থ্য নেই, তাঁরা ছোট যানবাহনগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজার ছাড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ হওয়ায় অনেকেই কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারছেন না।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার বেড়াতে যান হাজারও পর্যটক। অনেকে আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যাঁরা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁরা কক্সবাজার গিয়েছিলেন আরও কয়েক দিন আগে। এ ধরনের পর্যটকের সংখ্যা ২০ হাজার হবে বলে হোটেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, আগে থেকে হোটেল রুম বুকিং দিয়ে যাঁদের শুক্রবার বিকেলে পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে পারেননি, তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এ ছাড়া বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার পর্যটক। হঠাৎ দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়ায় পর্যটকেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণপরিবহণ, মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষুদ্র যানবাহন জেলাকেন্দ্রীক সড়ক বা চট্টগ্রামের পথে চলাচল করছে। তবে সেসব যানবাহন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের আটকা পড়ার বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাতের অবস্থা দেখে আটকেপড়া পর্যটকদের বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’