কনটেইনার ডিপোতে বিপজ্জনক কিছু ঘটার শঙ্কা নেই : সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে নতুন করে বিপজ্জনক কিছু ঘটার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল। ডিপোর ফটকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন আরিফুল ইসলাম।
সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় গত রোববার থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করে আসছে সেনাবাহিনী।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন ক্ষয়ক্ষতি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। ডিপোতে কিছু কনটেইনার এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। এ ছাড়া শনাক্ত করা হয়েছে কিছু রাসায়নিক কনটেইনার।
আরিফুল বলেন, ‘এখন আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে। বিপজ্জনক কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। ভালো কনটেইনারগুলোকে আমরা আলাদা করেছি, যাতে আগুন আর না বাড়ে।’
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে ডিপোর ভেতরে থাকা কনটেইনারগুলো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পাশাপাশি কিছু কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এসব কনটেইনারে সুতির কাপড়, তুলা ও ঝুট আছে। বাতাসের তীব্র গতি, কনটেইনারের মাত্রাতিরিক্ত তাপ ও কোন কনটেইনারে কী রাসায়নিক আছে, তা চিহ্নিত করতে না পারায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। কিছু কনটেইনারে এখনও আগুন জ্বলছে। কোন কনটেইনারে কী ধরনের রাসায়নিক আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের দুটি স্টেশনের তিনটি ইউনিট রোটেশন অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।’
এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৪৩ জন মারা গেছেন। কয়েকশ মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনের নাম-পরিচয় মিলেছে। তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়। অনেক বাসা-বাড়ি, মসজিদের জানালার গ্লাস, দরজার লক ভেঙে যায়। ফলে, আতঙ্কে আশপাশের স্থানীয়রা ঘর ছেড়ে দূরবর্তী স্থানে চলে যায়।