কবিগুরুর জন্মদিন : শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে সুনসান নীরবতা
‘ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে’—কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত এই গানের ‘সখী’ নাকি কোনো মানবী নয়, কথিত আছে এই ‘সখী’ তাঁর ভালোবাসার স্থান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর। জমিদারি দেখাশোনা করতে ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রথম শাহজাদপুরে যান। এরপর ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই সেখানে গেছেন। তাঁর অনেক কবিতা ও গান সেখানে লেখা।
কবিগুরুর গানটির কথার মতোই নীরবে-নিভৃতে ভক্তেরা পালন করছে তাঁর ১৬০তম জন্মবার্ষিকী।
প্রতিবছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হলেও, গত বছরের মতো এ বছরও করোনা মহামারির কারণে নেই কোনো আয়োজন। ফলে, ‘২৫শে বৈশাখে’ দেশ-বিদেশের রবীন্দ্রভক্তদের পদচারণায় মুখর থাকা কাছারিবাড়িতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
আজ শনিবার সকালে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আহ্বায়ক শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, প্রতিবছর ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভাসহ নানা অনুষ্ঠানমালায় রবীন্দ্রজন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। কিন্তু, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও ১৬০তম রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী পালন উৎসব স্থগিত করা হয়েছে।
১৮৯০ থেকে ১৮৯৭—আট বছর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি দেখাশোনার জন্য শাহজাদপুরে আসতেন এবং কিছুদিন থাকতেন। আর, এখানে বসেই তিনি রচনা করেছেন কবিতা—সোনারতরী, চিত্র, চৈতালী, কল্পনা; ছোটগল্প—পোস্টমাস্টার, রাম কানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, ব্যবধান, তারা প্রসন্নের কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ক্ষুধিত পাষাণ ও অতিথি; ৩৮টি ছিন্ন পত্রাবলী প্রবন্ধের অংশ বিশেষ, নাটক বিসর্জনসহ অসংখ্য গান।