কমিটি গঠনের পরই বিশৃঙ্খল ছাত্রদল!
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পরই দলটিতে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। নতুন কমিটির সঙ্গে সাক্ষাতে এসে নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। নতুন সাধারণ সম্পাদকের কথাতেও থামেন না তাঁরা। তাঁদের ধাক্কার শিকার হন গণমাধ্যমকর্মীরাও।
আজ রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা। নতুন এই কমিটির সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কমিটি মনোনীত করেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শ্রাবণ আগের কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। আর জুয়েল ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নতুন কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আজ কমিটি ঘোষণার পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আসেন ছাত্রদলের নতুন সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যালয়ে আসার আগেই নয়াপল্টনের আশপাশে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় পদ পাওয়া নেতাদের প্রটোকল দিতে আশা নেতাকর্মীরা ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হন। সাধারণ সম্পাদক জুয়েল বারবার নেতাকর্মীদের থামানোর করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
এমনকি সাইফ মাহমুদ জুয়েল পুলিশের মতিঝিল জোনের কর্মাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পেছন থেকে নেতাকর্মীরা ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এসময় উপস্থিতি গণমাধ্যমকর্মীদেরকেও তাঁরা ধক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
নয়াপল্টনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছাত্রদলের নতুন নির্বাচিত নেতাদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলে একাধিকবার ধাক্কাধাক্কির শিকার হন।
ধাক্কাধাকিতে জোরেসোড়ে অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমি। অনেকের অভিযোগ, তিনিই এসব কাজের মূল হোতা।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বলা হলে তিনি বলেন, ‘সভাপতি পার্টি অফিসের ওপর থেকে নামলে তখন কথা বলবো।’
এরপর সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ নেমে এসে জোরে জোরে চিৎকার করে সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে ডাকতে থাকেন।
শুরুতেই এমন ‘ঔদ্ধত্য’ ও ‘বিশৃঙ্খল’ অবস্থা দেখে অনেকেই হতাশ। তবে নাম প্রকাশ করতে নারাজ তাঁরা।