করোনার অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করা হবে। ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেটা আবার শিথিল করা হচ্ছে। আমরাও অর্থনৈতিক কারণে বর্তমানে কয়েকটি ধাপে কঠোর লকডাউন শিথিল করেছি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও সন্তোষজনক নয়। সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে পারব। আমাদের এখন স্বাস্থ্যবিধির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মাস্ক পরে ও শারীরিক দূরত্ব মেনে সবাই নিজ নিজ কাজগুলো করবে, সেটিই আমরা প্রত্যাশা করি। আমাদের এই জীবনের মধ্যেই অভ্যস্ত হতে হবে। অর্থনীতির গতিধারাও আমাদের বজায় রাখতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতে ভালো থাকে, সেটি দেখাও সরকারের প্রয়োজন।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৯ আগস্ট থেকে খুলছে পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার। ওইদিন থেকে সড়কে সব ধরনের গণপরিবহণ পুরোপুরি চলাচল করবে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন করে চারটি শর্ত দিয়ে ১৯ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
১. যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচল করতে পারবে।
২. পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।