করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে ‘জাতীয় ঐক্য’ অনিবার্য : আ স ম রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রোগী শনাক্তকরণ, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিনসহ যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে আংশিক লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, পুরোপুরি লকডাউন ইত্যকার গাল ভরা ‘ঘোষণা’ করোনা নিয়ন্ত্রণে মোটেও সহায়ক হবে না। করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখন ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ সোমবার পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদারের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অপরিকল্পিত লকডাউন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। গত এক সপ্তাহের লকডাউনের তেলেসমাতি জনগণের আস্থা দারুণভাবে বিনষ্ট করেছে। সরকার এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বহু আত্মতুষ্টি প্রকাশ করেছে কিন্তু এখন আর আত্মতুষ্টি প্রকাশ করার সময় নয়।
আ স ম রব বলেন, করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখন ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। এই ধরনের সর্বগ্রাসী জাতীয় সংকট কোনো এককদলীয় সরকার দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। জাতীয় সংকটে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন সংকটগ্রস্ত, তখন সমগ্র জাতিকে কার্যকর ঐক্য স্থাপনের মাধ্যমে একক শক্তিতে পরিণত করে এই অদৃশ্য যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে। যেভাবে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে, তা যথাযথ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে চরম বেদনাদায়ক অবস্থার সৃষ্টি হবে।
মানুষের মূল্যবান জীবন সুরক্ষা ও করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—
(১) সব রাজনৈতিক দল, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী পেশাজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ স্থাপন করতে হবে।
(২) করোনা নিয়ন্ত্রণে রোগী শনাক্তকরণ ও আইসোলেশন, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং ও কোয়ারেন্টিনসহ সার্বিক উদ্যোগ নিতে হবে।
(৩) সমাজে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রদান কর্মসূচির বিস্তার ঘটাতে হবে।
(৪) স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করে জোর প্রচারণা চালাতে হবে।
(৫) প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নিরন্ন মানুষের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
এই ভয়াবহ বাস্তবতায় এখনো যদি সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে আগের মতোই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকে, তা জাতির জন্য চরম দুর্দিন বয়ে আনবে। যা কারো কাম্য নয়।