করোনায় পাবনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতির মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওসমান গনি খান (৫৫) মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান জানান, ওসমান গনি খান বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনা জটিলতায় ভুগছিলেন। চারদিন আগে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওসমান গনির বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। শহরের ভাড়া বাসায় তিনি বসবাস করতেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনায় ওসমান গনি খানের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি অবহিত নন। তবে বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেবেন বলে জানান।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিবের শোক : শোকবার্তায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম ওসমান গনি পাবনা জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণও ছিল প্রশংসনীয়। তাঁর মৃত্যুতে পাবনা জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের যে ক্ষতি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামিন যেন মরহুমের শোকাহত পরিবারবর্গকে এই বিশাল শোক সহ্যের ক্ষমতা দান করেন। আমি মরহুম ওসমান গনির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’