করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সরকার গোপন করছে : বিএনপি
করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সরকার গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ রোববার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, চিকিৎসার অব্যবস্থাপনার কারণে আক্রান্ত মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসাও পাচ্ছে না। ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে হরিলুট চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে আজ রোববার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বিপর্যন্ত পুরো দেশ। বিএনপির অভিযোগ কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা ছাড়িয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। সিভিল সার্জন ছাড়া ঢাকা জেলার কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড চিকিৎসার কোনো তথ্য গণমাধ্যমে দিতে পারবে না এমন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সত্য গোপন করতে চায় সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্দেশ প্রমাণ করে, সরকার প্রকৃত তথ্য গোপন করছে এবং করতে চায়। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এর চাইতে বেশি। অবিলম্বে এ নির্দেশ ও তথ্য গোপনের চেষ্টা বন্ধ করে জনগণের সামনে প্রকৃত ও সঠিক তথ্য তুলে ধরলেই জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আরও করোনা শয্যা বাড়ানো হোক। এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক বাড়াক, অক্সিজেন ও ওষুধ বাড়ানো হোক। আইসিইউ শয্যা বাড়ানো হোক, তাহলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’
সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শুধু ধরপাকড় আর জেল-জরিমানা করে লকডাউন, এমনকি কারফিউও সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন আর্থিকপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংকারদের কাছ থেকে চাঁদা, জনগণের অর্থ, সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে শুধুমাত্র ব্যক্তি প্রচারণার নামে যে নির্মাণকাজ হচ্ছে তা কিছুদিন যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ছে। এই প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা হরিলুট চলছে। এভাবে ব্যক্তি প্রচারণায় জনগণের অর্থ অপচয়ের অধিকার কারো নেই। অবিলম্বে লোকদেখানো এই প্রকল্প বন্ধ করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নজরদারির অভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।