করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ২১ লক্ষাধিক মানুষ
দেশে এ পর্যন্ত সাড়ে ২১ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২১ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৩০ এবং নারী সাত লাখ ৩৭ হাজার ২৬৬ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৬ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ দুই হাজার ৫৭৪।
এ ছাড়া আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭২ লাখ ছয় হাজার ৫৬৫ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩২১ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৭ হাজার ৩৩ এবং নারী ৭০ হাজার ২৮৮ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৭০ এবং নারী সাত হাজার ৯২৪ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ছয় লাখ ৬২ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন লাখ ১৯ হাজার ৫৫২ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ২৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন নয় লাখ ১৫ হাজার ৫০৭ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯৮ হাজার ১৪৪ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ২৬৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৬৮৩ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫২ জন।
রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ৯৯৫ জন, প্রথম ডোজ ছয় লাখ ৬১ হাজার ৭৩৩ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ২৬৪ জন, প্রথম ডোজ পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৪ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন, প্রথম ডোজ সাত লাখ ২৯ হাজার ৬৬ জন।
বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯৭ হাজার ৭২০ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৫০ হাজার ২১ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৩০ জন, প্রথম ডোজ তিন লাখ ২১৩ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।