কাউকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা থেকে ফেলতে চাই না : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা কাউকে টোকা বা ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা থেকে ফেলতে চাই না। একটা সঠিক স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই। শান্তিপূর্ণ মিটিং-মিছিল করে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। বিএনপি কোনো উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল কথা বিশ্বাস করে না।’
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০ দফা দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সরকারের একজন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতাদের কটাক্ষ করেছে, আমি তাঁকে বলতে চাই- আপনি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। বিএনপির কোনো নেতা ছোট নয়। বিএনপির এই নেতাকর্মীরাই সরকারের পদত্যাগে বাধ্য করবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘উসকানি দিবেন না, উসকানি দিলে তার ফল ভালো হবে না। সাবধান হয়ে যান। ১০ দফা দাবি মেনে নেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়ী হলে ক্ষমতায় আসবেন। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। জোর করে আর ক্ষমতা থাকতে পারবেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশের আগের রাতে (৯ ডিসেম্বর) আমাকে ও দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর তারা এতোটাই ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল যে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, স্যার আপনারা কি সমাবেশ থেকে বসে পড়বেন?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ প্রমুখ।