কারখানা খোলার খবরে কাজীরহাট ফেরিতে উপচেপড়া ভিড়
শিল্পকারখানা খোলার খবরে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই ফেরিঘাটে মানুষের ভিড় লেগে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘাট ছেড়ে যাওয়া চারটি ফেরিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, মানুষের ভিড়ে চারটি ফেরিতে কোনো যানবাহন পার করা সম্ভব হয়নি।
কাজিরহাট ঘাটের বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) ম্যানেজার মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সকালে যে চারটি ফেরি ছেড়ে গেছে তার প্রতিটিতেই সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ ছিল। ঘাটে ফেরি দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ উঠে পড়ায় যানবাহন নামাতে বেগ পেতে হয়েছে। নতুন করে কোনো যানবাহন ফেরিতে তোলা সম্ভব হয়নি। লকডাউন চলায় সড়ক পথে তেমন যানবাহন চলছে না। যে কারণে অল্প কিছু গাড়ি ঘাটে আটকা পড়েছে।’
ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় নির্বাহী পদে কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এবারের ঈদে বাড়িতে আসার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে এসেছিলাম। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছি। পরিবারের সদস্যদের রেখে এখন আমাকে একাই ফিরতে হবে।’
কাজীরহাট ফেরিঘাটে কর্মরত সাব্বির হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি ফেরিতে সাধারণত এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পার করা হয়। এখন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ পার হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানো কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।’
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় না রেখে এভাবে চলাচল করায় স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এভাবে চলাচল করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।’