কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মহত্যা
মৌলভীবাজার কারা হাসপাতালে ভাস্কর চাষা (৬৭) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার ভোরে তিনি কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে সেখান থেকে দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাত বছরের এক শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ভাস্কর চাষাকে গ্রেপ্তার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। গত ৯ অক্টোবর রাতে ওই শিশুর নানা বাদী হয়ে ভাস্কর চাষাকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে মধ্য রাতে কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা বাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৯ অক্টোবর দুপুরে ভাস্কর চাষা ওই শিশুকে বাগানে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার দোকানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সে সময় ওই শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ভাস্কর দোকান থেকে পালিয়ে যান। শিশুটিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আব্দুল কদ্দুছ জানান, ওই হাজতি কারাগারে প্রবেশের সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষত থাকায় কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ধর্ষণ মামলার ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে অনেকটা হতাশায় ভুগছিলেন। আজ ভোরে তিনি হাসপাতালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে মুমূর্ষু অবস্থায় দ্রুত সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফয়ছল জামান জানান, জেলা কারাগার থেকে ফাঁসলাগা একজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে জানা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।