কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এস এম হানিফের সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দুপক্ষের সমর্থকেরাই ককটেল বিস্ফোরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ও শিকারমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে।
মাদারীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন কালকিনির নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন। এখানে যাঁরা নির্বাচন করছেন—কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মেয়র প্রার্থী কারও কাউকে ছাড় দেওয়ার মতো মানসিকতা নেই। এই অঞ্চল এমনিতেই একটি অরক্ষিত অঞ্চল। এখানে রাস্তাঘাট খারাপ। নির্বাচনটি উপলক্ষে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। আমরা কেন্দ্রে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিলাম। শুনেছি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। পরে পুলিশ আস্তে আস্তে তাদের সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়। যারা হামলায় লিপ্ত ছিল, তারা ককটেল ব্যবহার করেছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সকালে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো মনিরুজ্জামান জানান, কালকিনি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৯৫৮ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৪৪২ জন। নির্বাচন চলাকালে একজন জুডিশিয়াল বিচারকসহ মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এ নির্বাচনে মোট ৬৭০ জন পুলিশ সদস্য, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের তিনটি টিম, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩০ জন করে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।